শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিং সংলগ্ন রামচন্দ্রপুর খাল ভরাট করে গড়ে ওঠা বহুল আলোচিত খামার সাদিক অ্যাগ্রো ভেঙে ফেলা হয়েছে। শনিবার তৃতীয় দিনের মতো অভিযান চালিয়ে গরু-ছাগলের বিতর্কিত খামারটি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ওই এলাকার আরও কিছু অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

[৩] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ভ্রামমাণ আদালত। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের পর ভেকু মেশিন দিয়ে খাল খননের কার্যক্রমও চালানো হয়েছে। 

[৪] ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান বলেন, ‘সিএস নকশা অনুসারে খাল উদ্ধারে অভিযান চলছে। রামচন্দ্রপুর খালের এই অংশে চারদিনের উচ্ছেদ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রোববারও উচ্ছেদ অভিযান এবং খাল খননের কার্যক্রম চলবে।’

[৫] ঈদুল আজহায় ১৫ লাখ টাকা দামের ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন এনবিআরের সদ্য সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। এরপর সাদিক অ্যাগ্রোর বিভিন্ন পশুর দাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হয়। তবে সাদিক অ্যাগ্রোর এ উচ্ছেদ অভিযানকে নিয়মিত কাজের অংশ বলছে ডিএনসিসি।

[৬] শনিবার দুপুরে তৃতীয় দিনের মতো সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান পরিচালনা করে ডিএনসিসি। অভিযানের নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান।

[৭] একই অভিযানে ৯টি পাকা স্থাপনা, একটি হাউজিং এলাকার গেট এবং আশপাশের বেশকিছু ছোট স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম ও স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

[৮] ডিএনসিসি তিনদিনের অভিযানে ৭০টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ বিঘা জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া রামচন্দ্রপুর খালের ১০ টন বর্জ্য পরিষ্কার করে খনন কাজ চালানো হয়।সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী